খেলাধুলাঃ
প্রাচীনকাল থেকেই পূর্বধলা উপজেলা জনেগাষ্ঠী ক্রীড়ামোদী। এখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার জনপ্রিয় খেলার মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবলের আধিপত্য দেখা গেলেও অন্যান্য খেলাও পিছিয়ে নেই। পূর্বধলা বেশ কয়েকটি খেলার মাঠ রয়েছে। প্রতি বছর পূর্বধলা স্টেডিয়ামে নিম্নলিখিত ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ঃ
(ক)জাতীয় স্কুল ফুটবল টূর্ণামেন্ট
(খ) বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টূর্ণামেন্ট
গ্রাম্য খেলাঃ এ অঞ্চলের মেয়েরা সাধারণত এক্কা- দুক্কা, থাপড়ি, তালুক, মোগল পাঠান, ষোলকডি,পুতুল বিয়ে ইত্যাদি খেলে থাকে। ছেলেদের খেলাধুলার মধ্যে হাডুডু, দারিয়াবান্দা, গোল্লাছুট, বউছি,গুডিবাড়ী ইত্যাদি ।
নৌকা বাইচঃনৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা পূর্বে অতি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। তবুবিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠানিকভাবে
না হলেও গ্রামের লোকেরা নিজেদের উদ্যোগে নৌকা বাইচপ্রতিযোগিতা। বর্ষা ঋতুতে মাছ ধরা আর নৌকা বাইচ গ্রাম্য যুবকদের নিত্য
নৈমিত্তিক কাজ।
সঙ্গীত ও নৃত্যঃ
গারো ও হাজং উপজাতিরা সংগীত ও নৃত্যে অত্যন্ত পারদর্শী। তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও নৃত্য ও গানের প্রচলন যথেষ্ট। উপজাতিরা ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে অথবা বিভিন্ন ক্লাব ও সমিতির মাধ্যমেসঙ্গীত ও নৃত্য চর্চা করে থাকে। হিন্দু দের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে গানের ব্যবহার হয়েথাকে। মুসলিম সমাজের অনেকেই সঙ্গীত প্রিয়।
নাট্যকলাঃ
পূর্বে অত্র উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নাটকের চর্চা লক্ষ্য করা যেতো। গ্রামাঞ্চলে যাত্রার খুবই কদর ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি, সিনেমাহল, টিভি, ভিসিডি, ডিভিডি, ডিশ এন্টনা, ক্যাবল সংযোগ ইত্যাদির প্রভাবে এগুলোর (নাটক ও যাত্রা) চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এক সময় পূর্বধলায় বিভিন্ন গ্রামে যাত্রা গানের দল, কিচ্ছার দল, জারি গানের দল ছিল।
মেয়েলী গীতঃ
অত্র উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এখনও বাড়ীতে বাড়ীতে মেয়েদের গীতের প্রচলন পরিলক্ষিত হয়।বিয়ে-শাদী উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে চলে
মেয়েলী গীত।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS